অল্প কিছুদিন আগেও সোশ্যাল মিডিয়া তথা ফেসবুক শুধুমাত্র পণ্য বিজ্ঞাপনের একটি মাধ্যম হিসেবে দেখা হতো। ধীরে ধীরে এই মাধ্যমটিই এখন ব্যবসায়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাই সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধুমাত্র ব্রান্ডিং, সেলস বৃদ্ধি কিংবা বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব টেকনোলজি নির্ভর, ডাটা নির্ভর। কাস্টোমার পছন্দ অপছন্দের সঠিক ডাটা যদি থাকে তাহলেই এই মাধ্যমে উন্নতি করা সম্ভব। তাই তো বিশ্বের সবচাইতে বড় দুই কোম্পানী গুগল এবং ফেসবুক এ যখন কোন কিছু লিখে সার্চ দেয়া হয় তার পর ঠিক ঐ সংক্রান্ত পণ্যের সাজেশন ই আমাদের কাছে আসে বার বার। গুগল কিংবা ফেসবুক ই নয় শুধু অন্যান্য সব কোম্পানীই ডাটা নিয়ে কাজ করে।
ঠিক এই জায়গাতেই যারা সোশ্যাল সি আর এম এর প্রয়োজন। যারা সোশ্যাল মিডিয়া অথা ফেসবুকের মাধ্যমে কাজ করছেন তাদের জন্য সোশ্যাল সি আর এম প্রয়োজন। সোশ্যাল সি আর এম এর মাধ্যমে
রেগুলার কাজের সাথে “কাস্টোমার সার্ভিস, ব্রান্ড কমিউনিটি তৈরি থেকে শুরু করে ডাটা ম্যানেজমেন্ট” করা সম্ভব। বিভিন্ন টুল ভেদে ডাটার উপর ভিত্তি করে কাস্টোমার এর সাথে যোগাযোগ বা ক্যাম্পেইন করা যায়।
খুব সহজ ভাবে বললে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে কাস্টোমার এর বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর গুলো দেয়া হয় ঠিক একই জিনিস আরো ভালোভাবে করা সম্ভব সোশ্যাল সি আর এম এর মাধ্যমে। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার কাজটি সেই উত্তর দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ সেখানে সোশ্যাল সি আর এম কাজ করে একটি কাস্টোমার ম্যানেজমেন্ট মাধ্যম হিসেবে, সেলস লীড গুলো কে আলাদা করে চিহ্নিত করে রাখা, ডাটা ম্যানেজমেন্ট করে রাখা, রি-টার্গেটিং করা থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করা যায়।
এই ধরনের সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে HUBSPOT CRM, Agorapluse, Salesforce, ZOHO CRM, HootSuit, Sprout Social. উল্লেখিত সব গুলো সোশ্যাল সি আর এম গুলো দেশের বাইরে তৈরী। একেক টি একেক ধরনের ফিচার নিয়ে সমৃদ্ধ। এদের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি শুরু হয় নূন্যতম – ৩০-৫০ ডলার করে। আবার যেহেতু সবগুলোই দেশের বাইরে তৈরী তাই আমাদের দেশের এফ কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী এতে অনেক কিছুই নেই।
আমাদের ফেসবুক পেইজঃ www.facebook.com/SupportCE