নাগরিক তথ্য এবং যোগাযোগ এর জন্য সোশ্যাল সিআরএম ইনোভেশান

রানা সাইফুর বাংলাদেশের একটি শহরের বাসিন্দা ।  শহরের একপ্রান্তে তারা  মোটামুটি একটা বাড়ি করেছেন , আশপাশের এলাকার দেখভাল এর কাজেও হাত লাগান  তাদের পরিবার । তার অফিস কিলোমিটার দশেক দূরে ।

তিনি যে এলাকার এর  বাসিন্দা  তাদের নানান দপ্তরের  কলসেন্টার খুঁজেপেতে  ফোন দিয়ে মাঝে মাঝে  নানান কিছু জেনে নেন । কিছু সমস্যা ও রিপোর্ট করেছেন , কিছুদিন একটা এপ ব্যাবহার এঁর পরামর্শ পেয়েছেন । সমস্যা হোল একেকটি কাজের জন্য  একেকটি এপ , এভাবে ব্যাবহার করা বেশ  মুশকিল ।   আর ট্র্যাক থাকছে না কিছুতেই, পরের বার আবার ফোন করে একই জিনিষ বলতে বা জানতে হচ্ছে ।

একবছর কোরবানির ঈদের আগে ব্যাপারটা পরিবর্তন হলো । তার এলাকার দুটো দপ্তর  জানালো , তারা চাইলে বিভিন্ন  ধরনের জিজ্ঞাসা যেমন হোল্ডিং ট্যাক্স , ট্রেড লাইসেন্স, অনুমতি  বা সাপোর্ট যেমন ড্রেনেজ নিয়ে, রাস্তা নিয়ে , বিদ্যুৎ নিয়ে  বা ময়লার সমস্যা , পার্ক , ফগিং মেশিন এসমস্ত ব্যাপারের জানাতে পারবেন , এছাড়াও মতামত বা পরামর্শ দিতে পারবেন একদম সহজে । যে মাধ্যমে অভ্যস্ত  সেই  সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক বা মেসেঞ্জার বা অন্যান্য মেসেঞ্জার ও মেসেজ ব্যাবহার করেই । আলাদা কোন কিছু ইন্সটল মনে  রাখার একদম দরকার নেই । চমৎকার ব্যাপারটি হচ্ছে , কিছুদিন পরে ইস্যু নিয়ে যখন যোগাযোগ করছেন , ওপাশ থেকে সেই দপ্তর এর সাপোর্ট এজেন্ট কয়েক সেকেন্ডেই  বলতে পারছেন আগে কখন কি ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছিলো ,  আগে যে ওয়ার্ড , ফোন বা ইমেল বলেছিলেন সব আর বলতেও হচ্ছে না , এমনকি কয়েকটা ইস্যু সমাধান হবার পর তাকে জানিয়ে মেইল করা হয়েছে , ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং এসএমএস এ আপডেট পেয়েছেন ।   কিছু ইস্যুতে উনাকে এরও কিছু ছবি পাঠাতে বলা হয়েছিলো, যেটা সিম্পল একটা মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ।

মাঝে মাঝেই উনি এই অফিসগুলো থেকে  এর  নানান আপডেট , তথ্যাবলী মেসেজে ও মেসেঞ্জারে, মেইলে আপডেট পান । আগে যেমন মনে  হতো  এসব সরকারি অফিসের   এর কাজের হদিস পাচ্ছেন না , এখন নিয়মিত আপডেট এর ফলে  নিজেকে বেশ  যুক্ত এবং ইনফর্মড বোধ হয় ।

আক্ষরিক অর্থে একটা গেম চেঞ্জার অভিজ্ঞতা হয়েছিলো কয়েকমাস । ব্যাবহার করতে সোজা , পরিচিত মাধ্যমেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে এবং প্রতিটি যোগাযোগ এর রেকর্ড থাকছে ।  একটা দপ্তর যারা এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে সেখানে গিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা  তার । একদম মাস ধরে নাগরিকদের যোগাযোগগুলোর  গ্রাফ মনিটরে দেখা যাচ্ছে , কোন  ধরনের কয়টা অভিযোগ বা কত পার্সেন্ট অভিযোগ,পরামর্শ  দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে  কি পরিমাণ যোগাযোগ চলছে তাও লাইভ দেখতে পাচ্ছেন ।  নিজের নাম বলামাত্রই পাঁচ দশ সেকেন্ডের মাঝে বিগত ম্যাসগুলোতে  করা উনার সব যোগাযোগ  এর ইতিহাস হাজির হয়ে গেলো , কারা  যোগাযোগ করেছিলেন এদিক থেকে  তাদের তথ্য সহ । এমনকি এলাকাভিত্তিক পরামর্শ , অভিযোগ বা সাধারণ যোগাযোগের চমৎকার সব  পরিসংখ্যান  প্রতিমূহুর্তেই দেখা যাচ্ছে ।

সিটিজেন সার্ভিসে ইনোভেশান আর ই-গর্ভান্যান্স এঁর এত চমৎকার এবং  খুব সহজে মাত্র দু-তিনদিনের প্রশিক্ষণে নেয়া যায় এমন সমাধান পেয়ে নাগরিক হিসাবে উনি অভিভূত । দপ্তরগুলোর সমস্যা ছিল অল্প লোকবল দিয়ে ভাগ ভাগ করে এত যোগাযোগ এর হিসেব রেখে ফিডব্যাক দেয়া একসময় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিলো । এদিকে  সব যোগাযোগ আবার ফোন কলে চলে আসার কারণে প্রচণ্ড জরুরী সার্ভিসগুলোর তথ্য নাগরিকদের জন্য পেতে সমস্যা হচ্ছিল, এক্ষণ প্রায়  ৬০% যোগাযোগ এদিকে চলে আসার কারণে কলসেন্টারেও ভালো সার্ভিস দেয়া যাচ্ছে ।

সোশ্যাল মিডিয়া কে এভাবে সিটিজেন সার্ভিসে ব্যাবহারের পদ্ধতি প্রথমে শুরু হয়  কেমব্রিজের উদ্যোগে , চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে উন্নত অনেক দেশ এডপ্ট করার আগেও বাংলাদেশ এডপ্ট করা শুরু করেছে ।

এ  নিয়ে কমইঞ্জিনের একটা  ছোট কিন্তু ইফেক্টিভ ইমপ্লিমেন্টেশান পেপার আছে – যেটা  চারঘন্টায়  পাইলটিং ডেপলয় করা হয়েছিলো । বিস্তারিত  দেখুন এখানে-

E-Mail : contact@commengine.xyz |Call: +880- 16789 -16789 Send Request : https://commengine.xyz/demo/