নাম শুনেই আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন কি নিয়ে আজ কথা বলবো। প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শয়ে শয়ে (কোন কোন ক্ষেত্রে হাজারে হাজারে) কমেন্ট এবং ইনবক্স আসে। তার উত্তর দেয়া হয়। এদের একটা হিসেব রাখা। বড় বড় ব্রান্ড গুলোর ডিজিটাল মিডিয়া এজেন্সী থাকে। ব্রান্ড গুলোর পক্ষ থেকে এজেন্সী গুলো এই কমিউনিকেশন গুলোর হিসেব রাখেন। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়াল। এটি ঐ কর্মীটির দৈনন্দিন কাজে বেশ ভালো রকম প্রভাব পরে।
দুটি প্রশ্ন আসে
১. কেন এই কমিউনিকেশন হিস্টোরী প্রয়োজন?
২. কিভাবে সহজে এটি করা যায়?
আসুন উত্তর খুঁজি
১. কেন প্রয়োজন?
সবাই কম বেশী ফেসবুকে বুস্টিং করছেন। একটি করে কিংবা অনেক সময় একই সাথে দুই তিনটি পোস্ট বুস্ট হচ্ছে। আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় এই এতো বুস্ট করছেন আজকে কতোজন নতুন কাস্টোমার (একদম এক্সাক্ট নাম্বার) আপনার পেইজ এ এসেছে। এর মধ্যে কে কোন পোস্টে কমেন্ট করেছে? কতোজন পোস্টে কমেন্ট করেছেন? কতোজন ইনবক্সে কথা বলেছেন?
উত্তর দিতে একটূ মাথা চুলকাতেই হবে। পাল্টা প্রশ্ন করবেন এগুলো দিয়েই বা কি করবো? এই সিরিজের শুরুতে বলেছিলাম ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য অবশ্যি সেল বাড়ানো তবে আপনার কাছে যদি সঠিক ডাটা না থাকে তাহলে মার্কেট এ বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেন না। বড় কোম্পানী গুলো এই কারনেই দীর্ঘদিন টিকে থাকে। বুস্টিং এক ধরনের ইনভেস্টমেন্ট আপনার জন্যে। এই বুস্টিং এর আসল রিটার্ণ অব ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে আপনার ঐ বুস্টিং এর কারনে কতোজন এসেছে ( কোণ এসাম্পশন পার্সেন্টিজ না) এর মধ্যে কতোজন একদম নতুন। যদি এ তথ্য টী থাকে তাহলে আপনি বের করতে পারবেন এর মধ্যে কতো গুলো সেলস লীড ছিলো। আর যদি সেলস হয় তাহলে বুঝতে পারবেন কতো গুলো সেলস হয়েছে।
একটা উদাহরন এর মাধ্যমে দেখি-
ধরনে ১০ ডলার বুস্ট করলেন – যার মূল্য ধরলাম ৯০০ টাকা। যে পন্য টি বিক্রির জন্য দিয়েছেন সেটি প্রতি ইউনিত ১০০ টাকা করে। এখন বুস্ট করার পর দেখলেন আপনার ঐ পোস্টে সব মিলিয়ে ৫০০ জন কমেন্ট করেছে। এই ৫০০ জনের মধ্যে ২৫০ জন কেনার ব্যাপারে আগ্রহী। অবশ্যই সবাই কিনবে না। ধুরলাম ১২৫ জন কিনলো। এখন প্রতি ইউনিট অনুযায়ী আপনার বিক্রী ১২৫০০ টাকা। আপনি ধরে নিচ্ছেন আপনার এটিই রিটার্ণ। আসলে তা না যে ২৫০ জন আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো এরাও আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা।বাকিরা আবার অন্য কোন প্রডাক্ট বা অন্যান্য ধরনের কমেন্ট করেছিলো। এই পুরো তথ্য গুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একটা নিদ্দিষ্ট সময় পরে এই তথ্য গুলো আপনার জানার দরকার। যদি প্রত্যেক্টি কমিউনিকেশন ট্র্যাক এবং হিস্টোরী না রাখেন তাহলে এটি কিভাবে জানবেন? আশা করি প্রয়োজনীয়তা টি এখন বোঝাতে পেরেছি।
এবার দ্বিতীয় প্রশ্ন- কিভাবে?
বড় বড় ব্রান্ড গুলো এজেন্সীর মাধ্যমে এটি করলেও পুরো প্রক্রিয়াটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যানুয়াল। এজেন্সী কর্মী দিন শেষে বা কাজের ফাকে ফাকে এটি করে থাকেন যা তার সারাদিনের কাজে প্রভাবে ফেলে।
কম-ইঞ্জিন এর মাধ্যমে এটি খুব সহজেই সম্ভব। আলাদা করে এর জন্য কোন সময় ও দিতে হবে না। রেগুলার কোয়্যারী ম্যানেজমেন্ট করার সাথে সাথেই প্রত্যেকটি কমিউনিকেশন হিস্টোরিতে যুক্ত হয়ে যায়।
আমাদের ফেসবুক পেইজঃ www.facebook.com/SupportCE