কাস্টোমার রি টার্গেটিং/ রি এঙ্গেজমেন্ট

অনলাইনে সরাসরি কাস্টোমার এর কাছে পৌছানো খুব সহজ। ফেসবুকে নিজের ব্যবসায়িক পেইজ থাকলে কাস্টোমার রা খুব সহজে সেখানে তাদের মতামত এমনকি কেনা কাটাও করে। অনলাইনে সরাসরি কাস্টোমারের কাছে পৌছানোর প্রক্রিয়াটিকে আমরা দুইটী ভাগে ভাগ করতে পারি।

১. টার্গেটিং
২. রি-টার্গেটিং

১. টার্গেটিং- নতুন কাস্টোমারদের কাছে পৌছানোর জন্য যে প্রক্রিয়া তাকে টার্গেটিং বলা হয়। আমরা সবাই কম বেশি এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানি। সরাসরি বুস্টিং এর মাধ্যমে নতুন কাস্টোমারের কাছে পৌছানো যায়। এই বুস্টিং পোস্ট এবং ইনবক্সেও হয়।

ফেসবুকে বুস্টিং এর শুরুর দিকে প্রচুর অর্গানিক কাস্টোমার এর কাছে পৌছানো যেত। উদ্যোক্তাগন ও চান যেন অর্গাণিক কাস্টোমার কাছে যতো বেশী পৌছানো যায়। ঈদানীং একটা কমন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন সবাই। অর্গাণিক কাস্টোমার এর রিচ কমে যাওয়া আবার একই সাথে পেইড কাস্টোমার হিসেবে যারা আসেন তাদের বেশিরভাগই টিজির মধ্যে পড়েন না। এতে করে আগের মতো প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।

আর একটি টার্গেটিং মাধ্যম হচ্ছে এস এম এস মার্কেটিং। আসুন দেখে নেই এস এম এস টার্গেটিং কিছু বিষয়

* এস এম এস মার্কেটিং বিশাল এক কমিউনিটি কে টার্গেট করা হয় ( সাধারণত ইউজার গুলো সিলেক্ট করা হয় তাদের মাসিক বিল অনুসারে) । এই বিশাল কমিউনিটির কয়জন আসলে আপনার ব্যবসায়ের টিজির মধ্যে পরে?

* একটা সময় ছিলো যখন মানুষ কল এর পাশাপাশি এস এম এস পড়তো নিয়মিত। ঈদানীং এতো সব অফারের ভীড়ে কয়জন এস এম এস খুলে দেখে সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে। 

২. রি-টার্গেটিং 

ডিরেক্ট টু কাস্টোমার এর ২য় প্রক্রিয়া টি হচ্ছে রি-টার্গেটিং বা রি-এংগেজমেন্ট। রি-টার্গেটিং নিয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলবো পরের পর্বে। আজ দেখবো কি উপায়ে অনলাইনে রি-টার্গেট ক্যাম্পেইন কিভাবে করা যায়।

কেমন হয় যারা আপনার পেইজে কোন না কোন সময় পোস্ট এবং ইনবক্স একবার হলেও কিছু লিখেছে তাদের একটা লিস্ট আপনার হাতে রইলো। যেখানে আপনার পুরাতন কাস্টমার যারা আপনার ব্যবসায়ের শুরুর দিকে আপনার থেকে পণ্য কিনেছিলো। সময়ের পরিক্রমায় এরা হারিয়ে গেছে । এদের কে আবার রিমাইন্ড দেয়া আপনার নতুন অফার সম্পর্কে। এরা যেহেতু ইতিমধ্যেই আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনেছে তাই আপনার সার্ভিস নিয়ে সন্তুষ্ট। আবারো এদেরকে রি-টার্গেট করে ক্যাম্পেইন করা যায় এর সাকসেস রেট অনেক বেশী থাকে। আসুন দেখে নেই মেসেঞ্জার রি-টার্গেট এর খুটি নাটি। 

উপরে বলা হয়েছে মেসেঞ্জার রি-টার্গেট ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ফেসবুকের বিজনেস পেইজ এর মেসেঞ্জারে ঐ পেইজ এর প্রত্যেক ইউজার কে ইনবক্সে আলাদা করে ক্যাম্পেইন মেসেজ দেয়া। 

  • মেসেঞ্জার মার্কেটিং এ তাদেরকেই মেসেজ দেয়া হয় যারা ইতিমধ্যেই আপনার পেইজ এর সাথে যুক্ত।  অর্থ্যাৎ এরা টিজির মধ্যেই পরে।
  • যদি মেসেঞ্জারে ওয়ান টু ওয়ান মেসেজ পাঠানো হয় তাহলে কাস্টোমার সেটি দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার ইনবক্স দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় যে কাস্টোমার মেসেজ টি দেখেছে।
  • অপরদিকে মেসেঞ্জার ক্যাম্পেইন এ সবাইকে অটো নাম ট্যাগ করা সম্ভব। যখন একজন কাস্টোমার দেখবেন যে তার নামটি ট্যাগ করা হয়েছে তখন এটি আরো পারসোনাল মনে হবে। যার ফলে মেসেজটি দেখার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। 

এছাড়াও সেগমেন্টেড কমিউনিকেশন বা কাস্টোমার অনুসারেও রি-টার্গেট ক্যাম্পেইন করা সম্ভব। কমইঞ্জিন এর মাধ্যমে এই রি-টার্গেট ক্যাম্পেইন করা যায় খুব সহজেই। 

আমাদের ফেসবুক পেইজঃ www.facebook.com/SupportCE